• শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী যে দুঃসংবাদ দিলেন ফেসবুকে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন মর্জিা ফখরুল আজ শেষ হচ্ছে বুয়েটে ভর্তি আবেদন প্লাস্টিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে অ্যান্টার্কটিকায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা সাতক্ষীরা’র তালা উপজেলায় কিশোর কন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত পল্লী স্বাস্থ্য উন্নয়ন সংস্থার শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি দুইশতাধিক অসহায় শিশু জাতিসংঘে নিঃশর্ত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো লাভবান হবে’‘সার্ক সক্রিয় হলে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান শিক্ষকশূন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেটঃ : সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী এই জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রহিয়াছে মোট দুই হাজার ১১২টি। তন্মধ্যে প্রধান শিক্ষক নাই ৬৮৬টি বিদ্যালয়ে। আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রহিয়াছে ৪৩৮টি। অন্যদিকে যশোরের চৌগাছার ৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। আবার বরিশাল বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতেও প্রধান শিক্ষকের সংকট বিরাজমান। এখানকার ৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুই হাজারের বেশি স্কুলে নাই প্রধান শিক্ষক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষকরা এইসকল প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করিতেছেন। ফলে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ততার কারণে তাহারা প্রায়শ পাঠদান করিবার সময় পান না। ইহাতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হইতেছে মারাত্মকভাবে।

শুধু উপর্যুক্ত এলাকাগুলিতেই নহে, সারাদেশেই অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাই প্রধান শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, বর্তমানে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক ও ছয় হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ খালি আছে। কিছুদিনের মধ্যে আরো দুই হাজার প্রধান শিক্ষক ও ছয় হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হইবে। আমরা জানি, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসিবার পর প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হইয়াছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে। ইহার মধ্যে এক হাজার ৮৫২ জন প্রধান শিক্ষক ও ৫৭ হাজার সহকারী শিক্ষক। তাহার পরও শিক্ষক সংকট একটি বড় চ্যালেঞ্জ হইয়া রহিয়াছে। ইহার কারণ হইল কয়েক দশক পর সরকার নূতন করিয়া অনেকগুলি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করিয়াছে। এই পদক্ষেপ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করিলেও নূতন করিয়া তৈরি হইয়াছে শিক্ষক সংকট। কেননা এইসকল বিদ্যালয়ে ছিল না পর্যাপ্ত শিক্ষক। ইতোমধ্যে জাতীয়করণকৃত নূতন বিদ্যালয়গুলিতেও এই পর্যন্ত এক হাজার ৭৯৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হইয়াছে। তাহার পরও সংকট কাটিতেছে না। এইজন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতাও কম দায়ী নহে। শূন্যপদগুলি পূরণ করিতে না করিতেই আবার নূতন করিয়া শূন্য পদ তৈরি হইতেছে।

আশার খবর হইল, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরিয়া নানা টানাপোড়েন ও জটিলতার মধ্যে ছিল। ইহা এখন কাটাইয়া উঠা সম্ভব হইয়াছে। তাই নূতন করিয়া নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হইয়াছে। সমপ্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী চার মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দূর করিতে আরো ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হইয়াছে। এই লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়াছে। শিগগিরই প্রধান শিক্ষক পদে পাঁচ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হইবে বলিয়া জানাইয়াছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব। সুতরাং এই সমস্যা অচিরেই কাটিয়া যাইবে বলিয়া আমরা আশা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ