ভালুকা(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি॥
ময়মনসিংহের ভালুকায় তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করলো পাষন্ড স্বামী। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার(১মে) দিবাগত রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মাওরারচালা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়,গত (২৮এপ্রিল)শুক্রবার বিকালে ছেলে বৌ রোজিনার সাথে শ্বাশুড়ি মাজেদা খাতুনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ সময় শ্বশুর হেলাল উদ্দিন হেলু ক্ষিপ্ত হয়ে মাজেদা খাতুন, ছেলে নাজমুল ও মেয়ে রাহিমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে। এতে মাজেদা খাতুন গুরুতর আহত হয়। তাকে এই ক‘দিন বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে রেখে দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তার মেয়ে রাহিমা। মঙ্গলবার বিকালে মাজেদা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে সিডস্টোর বাজারে হাঁতুড়ে চিকিৎসক ইউসুফ খান এর কাছ থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থা আরও অবনতি ঘটে এবং ওই দিন (মঙ্গল বার) রাত সাড়ে ১১টার সময় মাজেদার (৪৫) মৃত্যু হয়। মাজেদা পার্শ্ববতী উপজেলার ধামলই এলাকার শাহাব উদ্দিনের মেয়ে। গত ১বছর যাবত তাদেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ চলে আসছিল বলে প্রতিবেশীরা জানায়।
মাজেদা মারা যাওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসী একজোট হয়ে মৃত উমর আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন হেলু (৬০)কে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। মাজেদার হাতে ও দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নাজমুল হক বাদী হয়ে তার পিতা হেলাল উদ্দিন হেলুকে আসামী করে একটি হত্যা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভালুকা মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেন জানান, হেলাল উদ্দিন ৪টি বিয়ে করেছেন। পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে লাঠি ও বাঁশের খাটিয়া দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। নিহতের গায়ে বিভিন্ন স্থানে নিল, ফোলা জখম রয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।