কেয়ামত ! সেটা কবে হবে একমাত্র আল্লাহ মালূম। রাসুল (সাঃ) কিয়ামতের আগমনে নমুনা বাতলেছেন কিন্তু সঠিক দিন তারিখ বলেন নাই। আমরা জানিনা কেয়ামত কবে হবে এবং সেই কেয়ামতের ভয়াবহতার দিনে কি কি ঘটবে। তবে কেয়ামতের ভয়াবহতার আলামত আমাদের দেশে একটি বিষয়ের উপর আরম্ভ হয়ে গেছে। সেটা হল খাদ্য সামগ্রি। জানিনা কেয়ামতের আলমত হিসাবে খাদ্য সামর্গির ভেজাল কিনা। যদি কেয়ামতের বিভিন্ন আলমতের মধ্যে খাদ্য সামগ্রিতে ভেজাল হয় তাহলে কেয়ামতের শুভ লক্ষণ হিসাবে বাংলাদেশ গর্বিত হতে পারে। মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর পরই তার জাতিকে চিনতে পেরেছিলেন। তাইত তিনি গর্ভ সহকারে নয় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তার জাতির পরিচয় সাব্যস্ত করেছিলেন। এক ভাষনে তিনি বলে ছিলেন, “সবাই পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি”। একজন নেতা হিসাবে তার জাতির নাড়ী-নক্ষত্র সবই জানা থাকে। আসলে জানার প্রয়োজন থেকে জানা হয়ে যায়। আধুনিক যুগে আমরা আধুনিক জাতি। মানে সভ্য জাতি। কিন্তু আমাদের বিবেক ? দেশে খাদ্যদ্রব্যে মহা কিয়ামত আরম্ভ হয়ে গিয়েছে। যাকে বলে স্লো পয়জনে মৃত্যুর পরওয়ানা। কোন খাদ্যে ভেজাল (বিষ) নাই বলা মুশকিল। যে সকল খাদ্য জীবন ধারণের জন্য আমরা গলাধকরন করি তার একটা লিষ্ট বের করা কঠিন যে অমুক খাদ্যে ভেজাল নাই। পানি হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। যে পানির অপর নাম জীবন। সেই পানিকে ভেজালের আওতায় আনা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যেমন চাল, তেল, হলুদ, মরিচ, মাছ, মাংশ, সাক সবজি কিসে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি নাই। আপেল, কমলা, মালটা, কলা আর মৌসুমী ফল আম, জাম, কাঠাল, লিচু ইত্যাদি অতি মুনাফা খোরদের লোভে বিষাক্ত রাসায়নিকে আক্রান্ত হয় নাই তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিষাক্ত রাসায়নিকের মধ্যে ফরমালিন, কার্বাইড, ইথোফিন, কাপড়ের রং, আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, সিসা ইত্যাদি। এসব খাদ্য হজম করে কষ্টে স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাঙালি জাতি ডায়রিয়া, পেটের পিড়া, কিডনি সমস্যা, হার্টের অসুখ লিভারের জটিলতা এবং ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কাছে আত্ম সমর্পণ করছে। তারপর আছে মাদকের ভয়াবহতা, ঘুষ, দুর্নিতী, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী। দেশ এবং দেশের মানুষ তাদের কাছে অসহায়। মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সেলুট জানাই তার জাতিকে চিনতে পেরেছিলেন। তিনি আজ বেঁচে থাকলে পাকিস্তানের কাছ থেকে যেমন স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে আমাদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন তেমনি, খাদ্যে ভেজালকারী মুনাফাখোর, ঘুষখোর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ দেশের শত্রুদের মুল উৎপাটন করে শান্তি প্রিয় জাতিকে শান্তিতে থাকার নিশ্চয়তা দিতেন।