শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকের পুরস্কার পেলেন তিন নারী। তারা হলেন—লিপি খাতুন। যিনি ‘উইমেন হোম’ বিষয়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরির আইডিয়া দিয়েছেন। তানজিলা ইসলাম তিনি তৈরি করেন ‘আমাদের শিশু আমাদের গর্ব’ নামে গেম। আফরোজা আহমেদ তিনি তৈরি করেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলিং এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।’
গতকাল সোমবার সিলেটের হবিগঞ্জ দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে উইমেন্স ইনোভেশন ক্যাম্পে-২০১৮ এর চূড়ান্ত বাছাই পর্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে এটুআই এবং মহিলা অধিদপ্তর। এতে সহযোগিতা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং ইউএসএইড। ‘জাতীয় সমস্যা সমাধানে নারীর উদ্ভাবন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুই দিনব্যাপী তৃতীয়বারের মতো এটি অনুষ্ঠিত হলো। প্রতিযোগিতায় নারীদের কাছে থেকে ৩১৬টি উদ্ভাবন জমা পড়ে। বিজয়ী তিন নারীকে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। বিজয়ী আইডিয়াগুলোকে এটুআই ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় প্রকল্প আকারে বিবেচনা করে সফল বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।
বিচারক মণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সাদেকা হালিম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আশরাফুল ইসলাম।
লিপির ‘উইমেন হোম’ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নারীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে অ্যাপের সাহায্যে ঢাকা শহরের মধ্যে খালি বাসা খুঁজে পাওয়া যাবে। একটি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে নারীরা বাসা ভাড়া, বাসার ভেতরের ছবি, এবং বাসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। মেয়েরা বিপদে পড়লে স্থানীয় থানা ও অভিভাবককেও জানাতে পারবেন। তানজিলার গেমের মাধ্যমে যৌন-শিক্ষা ও যৌন নির্যাতন সম্পর্কে দিক নির্দেশনা থাকবে। আফরোজার অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উন্নত মানসিক চিকিত্সা নিতে পারবেন।