সস্প্রতি ফেসবুকের ডাটা বেহাত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ফেসবুক বেশ সমালোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে ফেসবুক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে দায়ী করেছিল। এ নিয়ে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা করছে ইউরোপিও কমিশন।
ইতোমধ্যে ফেসবুক কতৃপক্ষ ইউরোপিয় কমিশনের ডাটা সুরক্ষা পর্যবেক্ষকদের পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা মওকুফের আবেদন করেছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দাবি, ফেসবুকের ডাটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি। তাই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে এই জরিমানা করা উচিত হবে না। মাধ্যমটি বলছে, এই জরিমানা করা হয়েছে শুধু একটা উদ্বেগ থেকে। উদ্বেগটি হচ্ছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কারণে হয়তো যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ডেটাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু সত্যিই ডেটা শেয়ার করা হয়েছে কিনা সেটা তদন্তেও সনাক্ত হয়নি। ফেসবুকের ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সহযোগী জেনারেল কাউন্সিল ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যানা বেনকার্টতাই বলেন, আইসিও যে দাবি করছে সেটি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। চলতি বছরেই প্রকাশ পায় রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তথ্য নেয়ইনি, তারা সেটি গত মার্কিন নির্বাচনে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক।
কীভাবে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে মিলে তথ্য শেয়ার করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলে আইসিও। এছাড়াও ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। পরে তার শুনানির শেষে এই জরিমানা ধার্য করে আইসিও। কিন্তু এমন আবেদন কেন করেছে ফেইসবুক সেটি নিয়ে নানা মহলে নানান জল্পনা কল্পনা চলছে। অনেকেই মন্তব্য করতেও পিছপা হচ্ছেন না যে, ফেসবুক আসলেই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে আঁঁতাত করেই এমন কাজ করেছে। তা না হলে কেন তারা আবেদন করবেন। অন্যদিকে আইসিও জানিয়েছে, তারার ফেসবুকের করা এমন কোন আবেদন পাননি। আবেদন পেলেও তাদের কিছুই করার নেই। কারণ ‘বিষয়টি এখন সম্পূর্ণ ট্রাইবুনালের অধীনে’ বলে জানিয়েছে তারা। সূত্র : টেকরাডার ডটকম n তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক