• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

গণঅধিকার পরিষদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

গণঅধিকার পরিষদের বিরাজমান পরিস্থিতি কেন হলো তা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ সদস্যের ওই কমিটি ঘটনার তদন্ত ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করে আগামী সাত কর্মদিসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। মঙ্গলবার গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সচেতন সদস্যদের এক যৌথ ঘোষণায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যরা গঠনতন্ত্রের ১৮-গ-৮ ধারার ক্ষমতাবলে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের তৎপরতাকে নীতিবহির্ভূত এবং দলের শৃঙ্খলার ও জনমনে দলের ইমেজ ক্ষুন্নকারী উল্লেখ করা হয়।

কমিটিতে রয়েছেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শৃঙ্খলা এবং অডিট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও আইনজীবী অধিকারর পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ব্যরিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জাকারিয়া পলাশ এবং গণঅধিকার পরিষদের সহকারী আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক উপকমিটি প্রধান সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বাসভবনে গত রোববার সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সঙ্গেকার বৈঠক মুলতবি করা হয়। কিন্তু এর একদিন পর নুরুল হক নুর একটি সভার আহ্বান করেন, যা গঠনতন্ত্রের ৩৬(খ), ৩৭(ক), ৩৮, ৩৯(খ) ও ৩৯ (ঘ) অনুযায়ী অবৈধ। তবুও অনেকে দলের স্বার্থে সেখানে উপস্থিত হন। বৈঠকে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধ করে আহ্বায়য়ক রেজা কিবরিয়া দেশে আসার পূর্ব পর্যন্ত ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপস্থিত সবার মতামতকে উপেক্ষা করে একটি বানোয়াট সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, যেখানে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনকে সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। অবৈধ এই সিদ্ধান্তে দলের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

আবার মঙ্গলবার দলের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কোটা সংষ্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ঘোষণা করেন। আহ্বায়কের এই কাজটি সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। এমন পাল্টাপাল্টি কার্যক্রমে দলে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ