• সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই: রিজভী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিনি জাতীয় বেইমান হলেন। এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গেলেন। জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা দেশবাসী দেখেছে।

তিনি বলেন, অপরদিকে জিয়াউর রহমানের কথা ও কাজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা ও কাজ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এটাও দেশবাসী দেখেছে। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে, তারা ন্যায়ের পক্ষে সত্যের পক্ষে, এদেশের স্বাধীনতার পক্ষে স্বার্বভৌমত্বের পক্ষে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (ঢাকা বার) আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, রাতের ভোট দিনে করতে বললেই অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর মাথা উঁচু হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এদেশের জনগণ কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবীরা রাজপথে নেমেছ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন বিদেশিদের কথায় আপনি মাথা নত করবেন না। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ রাস্তায় নামবে তখন আপনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদেরকে রুখে দেবেন, এই জন্য মাথা উঁচু করে থাকবেন। যদি কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়, রাতের ভোট দিনে করতে বলা হয় তাহলে আপনি তাদের কাছে মাথানত করবেন না। আপনি শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতা লুট করেছেন তাদের অধিকার লুট করেছেন। আর এই বিষয়ে কেউ কথা বললে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না।

রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সত্য কথা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমাদের নেত্রী কথা দিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই হবে না। ওবায়দুল কাদের কি ভুলে গেছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা? সেই নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। ওই নির্বাচন আমরা দেখেছি ওই নির্বাচনকে বলা হয় মিডনাইট নির্বাচন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আমরা দেখেছি সেই নির্বাচনে তারা একচাটিয়া নির্বাচন করেছে। অনেক বড় বড় দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারপরে বললেন আমরা একটা মধ্যবর্তি নির্বাচন করব। তারপরে পাঁচ বছর চলে গেল। তারপরে ২০১৮ সালে মধ্যরাতে নির্বাচন করলো।

প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে? আপনাদের মনে নেই ২০০৪ সালে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করেছিলেন কীসের জন্য? জাস্টিস কে এম হাসান, উনি এক সময় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন কয়েক মাসের জন্য। তাই তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না এটা নিয়ে শেখ হাসিনা আন্দোলন শুরু করলেন। কিন্তু আপনি শেখ হাসিনা ৪৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাহলে আপনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কীভাবে? কয়েক মাসের জন্য যিনি বিএনপির একটি সম্পাদক পদে ছিলেন তার অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় তাহলে আপনি শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতি করেছেন রাতে ভোট করেছেন তাহলে কীভাবে ওবায়দুল কাদের গ্যারান্টি দেয় আপনার অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে? কোনোদিন এটি সম্ভব নয়।

রিজভী আরও বলেন, ‘আজ সবাই একমত শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তার অধীনে দিনের ভোট রাতে হয়। সেইজন্যে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। সেটির জন্য আইনজীবীদের বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবি নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ