• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

রাজধানীর ফার্মগেটে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার হত্যাকাণ্ডে তিন ছিনতাইকারী সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এবারের ঈদে দুইটি ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ফার্মগেট এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান। ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে তিন ছিনতাইকারী। এ সময় পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান তাদের বাধা দেন। পরে ছুরিকাঘাত করে তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। তারা পশ্চিম দিক দিয়ে একসঙ্গে পালিয়ে যায়। মোহাম্মদপুর গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়।

মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনায় গত শনিবার রাতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে ডিএমপির তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের। মামলাটির তদন্ত করছেন তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহ আলম। আর ছায়া তদন্ত করছে ডিবি।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে মনিরুজ্জামানের গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে তার সঙ্গে থাকা মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় তারা।
মনিরুজ্জামান তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে ঢাকায় ফিরে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নামেন তিনি। সেখানে ট্রাফিক পুলিশের অফিসের দিকে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

মনিরুজ্জামান ২০০২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশে যোগ দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি তেজগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার করুয়া গ্রামে তার বাড়ি। তার বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা কাসেম তালুকদার। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মনিরুজ্জামান দ্বিতীয়। গ্রামে তার স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ