• বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

উল্টোপথের গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান আইন মান্য করার সংস্কৃতিই হোক লক্ষ্য

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

দুদক চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ট্রাফিক আইন ভেঙে উল্টোপথে চলাচলকারী ভিআইপিদের গাড়ির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান প্রশংসার দাবি রাখে। সুশাসনের জন্য ও আইনের প্রতি মানুষকে শ্রদ্ধাশীল করে তুলতে এ অভিযান অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। যেখানে সাধারণ মানুষ, অসুস্থ রোগী ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র গরমে অসহ্য জ্যামে আটকে থাকেন, সেখানে মন্ত্রী-এমপি, বিচারক, সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এমনকি সাংবাদিকরা পর্যন্ত কীভাবে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে উল্টোপথে পার হয়ে যান, তা আমাদের বোধগম্য নয়। উল্টোপথে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে চলমান এ অভিযান কেবল ট্রাফিক আইনই নয়, সবক্ষেত্রে আইন মেনে চলতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।
জানা যায়, টানা তৃতীয় দিনের মতো উল্টোপথে গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এতে জ্যেষ্ঠ সচিব, ডিআইজি, সেনা কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ প্রভাবশালী অনেকের গাড়ি আটক করে জরিমানা করা হয়। কেবল চালকদের জরিমানা করা হলেও গাড়ির মালিক এবং সরকারি গাড়ির ক্ষেত্রে যেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গাড়িটি ব্যবহার করেন, তাদেরও যে আইন ভঙ্গের দায় রয়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। গাড়ির মালিক-ব্যবহারকারীর তাড়ার কারণেই দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চালকরা আইন ভঙ্গ করে উল্টোপথে চলেন, এটা সহজেই অনুমেয়। এ অভিযান চলমান থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাদের চালকরা সতর্ক হবেন এবং ধীরে ধীরে উল্টোপথে চলার সংস্কৃতি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আইন ভঙ্গ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতির কারণে দেশে নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করা এক ধরনের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। প্রভাবশালী মহল থেকে শুরু করে নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বেপরোয়া ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে কেবল উল্টোপথে যাতায়াতই নয়, একইসঙ্গে প্রতিবাদকারী মানুষ ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক সার্জেন্ট-পুলিশের ওপর হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তারই নজির। আজ যে ছাত্ররা জ্যামের সময় উল্টোপথে চলাকে অভ্যাসে পরিণত করছে, একসময় দেশের বিশিষ্ট নাগরিক হতে পারলেও তাদের এ প্রবণতা যে থেকে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। ফলে কেবল প্রভাবশালীদের গাড়ির বিরুদ্ধে নয়, উল্টোপথে চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু জরিমানা করে ছেড়ে না দিয়ে প্রয়োজনে কয়েকদিনের জন্য গাড়ি জব্দ করা গেলে সবাই সতর্ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ