নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে উপজেলার অনন্তপুর এলাকায় পরকীয়া দেখে ফেলায় মেয়ে সুমাইয়া বিনতে আলম স্মৃতিকে (১৭) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার আসামি মারজাহান আক্তার সুমিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলা আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করে র্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃত মারজাহান আক্তার সুমি (৩২) উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে এবং উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেনের সাবেক স্ত্রী। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার ভিকটিম এমএ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। মেয়ের বাবা বিদেশে থাকায় তার মা (আসামি) অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যার কারণে মেয়ের বাবা আসামি মারজাহান আক্তার সুমিকে তালাক দেন। স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে মেয়ে তার মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকত। বিভিন্ন সময়ে তার মেয়ে তার দাদার বাসায় গেলে তার মায়ের চারিত্রিক দোষের কথা বলত। এ কারণে মেয়েকে প্রায়ই তার মা মারধর ও নির্যাতন করত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মেয়ের ইচ্ছা ছিল সে এসএসসি পাশের পর চৌমুহনী কলেজে ভর্তি হয়ে স্থায়ীভাবে তার দাদার বাসায় থাকবে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর মেয়ের মা তার দাদার কাছে ফোন দিয়ে জানায় মেয়েকে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হলে মেয়ে মৃত্যুবরণ করে। ওই ঘটনায় মেয়ের দাদা মো. খোরশেদ আলম আসামিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা নোয়াখালী বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে।