• রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মারধরের পর সাবেক এমপি শাহে আলমকে থানায় দিল জনতা দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিশরে নিহত ৩, আহত ৪৯ মার্কিন প্রতিনিধিদল ও উপদেষ্টার বৈঠক আজ ঝড় বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪, নিখোঁজ ৮৯ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধের পর সহায়তা দিতে প্রস্তুত নয়: আমিরাত গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যায় মহাসচিবের নিন্দা ধর্মীয় উপাসনালয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলোতে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আ.লীগ নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ পেতে পারে: মঈন খান  সাধুহাটির জমিদার রাজচন্দ্রের বাড়ি বিলীনের পথে আবারো খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ৮টি জলকপাট

জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে এত জটলা কেন?

আপডেটঃ : বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে দেখা যাইবে প্রতিটি গেইটে মানুষ-দোকানপাট-রিকশা-সিএনজির জটলা। গেইট হইতে এই জটলার পরিধি মধ্যরাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে গেইটের পার্শ্ববর্তী রাস্তায় প্রায়শই যানজট বাধিয়া যায়। যেই গেইটটি সর্বক্ষণ জটলামুক্ত রাখা প্রয়োজন, সেই জরুরি বিভাগের গেইটেই জটলা সবচাইতে বেশি। গেইটের একপাশের ফুটপাতে ফল, প্লাস্টিক পণ্য, পানি প্রভৃতির দোকান। গেইটের উল্টা পাশে রহিয়াছে সারিবদ্ধ অস্থায়ী খাবারের দোকান। পাশেই রহিয়াছে অবৈধ ভ্যানের গ্যারেজ, যাহা রাস্তাকে সংকুচিত করিয়া দিয়াছে। দোকানপাট, যানবাহন, মানুষের জটলা মিলিয়া জরুরি বিভাগের গেইটকে ঘিরিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে অভেদ্য ব্যারিকেড। ফলে সত্যিকারের জরুরি পরিস্থিতির রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়াই কঠিন হইয়া পড়িয়াছে। অথচ জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিপূর্বে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাহিরের রাস্তাটি প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স দখল করিয়া রাখিত। কিন্তু জরুরি বিভাগের গেইটে বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় হতাহতের ঘটনার পর হইতে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের আড্ডা কমিয়াছে। কিন্তু অন্য সকল উত্পাত তেমনই রহিয়াছে। যেমন বাঁশ-ত্রিপল দিয়া যেইসকল খাবারের দোকান জরুরি বিভাগের সম্মুখে আসন পাতিয়া রহিয়াছে সেইগুলি পুলিশ প্রায়শই ভাঙিয়া ফেলে, কিন্তু দুয়েকদিনের মধ্যেই তাহারা আবার যথাস্থানে ফিরিয়া আসে। দিনের পর দিন এমনই চলিয়া আসিতেছে। ইহার অর্থ হইল, দায়িত্বরত পুলিশ কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাহাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করিতেছেন না। অথবা পারস্পরিক যোগসাজশেও এমনটা হওয়া বিচিত্র কিছু নহে। দূরদূরান্ত হইতে আগত রোগীর আত্মীয়স্বজনের নিকট খাবার কিংবা ফলের দোকানের চাহিদা হয়ত রহিয়াছে, কিন্তু তাহা অবশ্যই জরুরি বিভাগের গেইটকে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী করিয়া তুলিবার বিনিময়ে নহে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের সকল প্রবেশপথ পরিচ্ছন্ন ও নির্বিঘ্ন রাখা খুবই জরুরি।

 

কেবল হাসপাতালের গেইটের বিষয় নহে, সমগ্র মহানগর জুড়িয়াই ছড়াইয়া আছে বিশৃঙ্খলা। আমরা এমনভাবে আমাদের শহর গড়িয়া তুলিয়াছি, যাহা জানিয়া-শুনিয়া নিজেদের পায়ে কুড়াল মারিবার শামিল। আবাসিক এলাকায় অনেক লেনই রহিয়াছে, দুইটি গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করিতে পারে না, জট বাধিয়া যায়। আগুন লাগিলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি অকুস্থলে যাইতে পারে না, কখনো ট্রাফিক জ্যাম, কখনো-বা গাড়ি যাইবার কোনো রাস্তা না থাকিবার কারণে। পরিকল্পনাজনিত ত্রুটির কারণে রাস্তাগুলি অপরিসর হইতে পারে, কিন্তু সরকারি রাস্তা যথেচ্ছভাবে দখল করিবার মানসিকতা রাস্তাগুলিকে আরও সংকীর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। আর কি অলিগলি কি রাজপথ, ঢাকার কুখ্যাত ট্রাফিক জ্যামের কারণে গুরুতর অসুস্থ মানুষ হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাইতেই সক্ষম হয় না অনেক ক্ষেত্রে, পথিমধ্যেই অনেকের প্রাণ চলিয়া যায়। কিন্তু কেহ যদি জ্যামের রাস্তা ঠেলিয়া মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের গেইটে উপস্থিত হয়, তবে অনভিপ্রেত জটলা যেন অধিক ভোগান্তির কারণ না হয় সেইদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনকেই ব্যাপারটি নিশ্চিত করিতে হইবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ