তরুণীকে কনসার্টে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় ‘প্রধান পরিকল্পনাকারী’ ফাহিম হাসান দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফাহিম ভুক্তভোগী তরুণীর নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান আছে।
এর আগে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচলে কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকা থেকে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
বাহিনীটি বলছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পূর্বাচলের ময়েজ উদ্দিন চত্বরে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাত ১০টায় ভুক্তভোগীকে তার নিকটাত্মীয় সাব্বির কনসার্টে নিয়ে যান। কনসার্ট চলাকালীন সাব্বির ও আনাস কাজী তাদের অন্য সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কনসার্ট শেষ হলে রাত পৌনে একটার দিকে দিহান তার প্রাইভেটকার নিয়ে আসেন। গাড়িতে দিহান, শাকিল, জাহিদ ওরফে শুভ, সালমান ও আরাফাত অবস্থান করেন। সাব্বির একটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগীকে কনসার্ট এলাকা থেকে একটু দূরে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যান। আসামি দিহান তার প্রাইভেটকারে শাকিল, জাহিদ, সালমান ও আরাফাতকে নিয়ে সেখানে যান।
সেখানে পৌঁছে তারা সাতজন আবার পরামর্শ করে ও ভুক্তভোগীকে প্রাইভেটকারের পেছনে বসান। অল্প কিছুক্ষণ আসামি সাব্বির ও আনাস কাজী ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে তারা ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রাত আড়াইটার পর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশতাক আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় মামলার পর র্যাব-১ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে ছায়া তদন্ত শুরু ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। রবিবার রাতে রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরা এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার মূলহোতা ফাহিম হাসান দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহান দলবেঁধে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
দিহানকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।