বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিবেশী হামিম শেখের ঘর থেকে শিহাব শেখ ওরফে আরিয়ান নামে ৩ বছরের এক শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির বিশেষ অঙ্গ কর্তনের পর তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার জানায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ হামিম শেখকে (১৫) আটক করেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার বিকাল থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সিহাব। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
নিহত শিশু সিহাব হিজলা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা সুমি আক্তার বাদী হয়ে হামিম শেখকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে চিতলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
চিতলমারী থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, শিশু সিহাবের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হামিম শেখ নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার ঘর থেকে শিহাবের বিশেষ অঙ্গ কর্তনে ব্যবহার করা কাঁচিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পিতা ফরহাদ শেখ বিলাপ করে জানান, হামিম শেখ আমার প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। সে এভাবে আমার সন্তানকে হত্যা করবে এটা কল্পনা করতে পারিনি। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।