কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭০০ বিঘা জমির পানবরজ ও কয়েকটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। পাশাপাশি গমসহ অন্যান্য ফসল পুড়ে গেছে। এতে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী-তীরবর্তী রায়টা, নিশ্চিন্দ্রপাড়া, মাধবপুর, গোসাইপাড়া গ্রামের পানবরজে অগ্নিকারণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এই নিয়ে ওই এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন প্রায় ৭০০ বিঘা জমির পানবরজ পুড়ে গেছে; পুড়েছে কয়েকটি বসতবাড়িও। এতে তাদের ধারণা, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে এখনও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পানচাষি খলিল হোসেন বলেন, ‘আমার দুই বিঘা পান ছিল। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
পানচাষি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রায়টা পাথরঘাট এলাকা থেকে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। তারপর আড়কান্দী ও মাধবপুর গ্রামের মাঠের পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রতি বিঘায় কমপক্ষে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার দুই বিঘা পান ছিল। দুই বিঘায় প্রায় ছয় লাখ টাকার পান হতো। পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে পানচাষি ও এলাকার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। এ অঞ্চলের অর্থনীতি নির্ভর করে পানচাষের ওপর। এ ক্ষতি সহজে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
এ ঘটনার পর কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুন্ডু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।