বেশ কয়েকদিন শান্ত থাকার পর আবারও কাঁপল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত। মিয়ানমারে হঠাৎই মুহুর্মুহু মর্টার শেল বিস্ফোরণে কাঁপল সীমান্ত লাগোয়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আশপাশ।
স্থানীয়রা বলছেন, রোববার (১৭ মার্চ) আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রায় ২০টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাখাইনের মংডু শহরের উত্তরে নাকপুরা এলাকায় সংঘাতের জেরে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। তবে রাত ১০টার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আর কোনো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত চলছে। উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এর প্রভাব পড়ছে এপারে।
রোববার রাতে হঠাৎ একসঙ্গে প্রায় ২০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে সীমান্তে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।
একাধিক সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি স্থলপথে নাকপুরা এলাকার বিজিপি সেক্টর ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এরপর বিজিপিও পাল্টা জবাব দেয়। রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে টানা আধাঘণ্টা লড়াই চলে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে বিকট শব্দে মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। এতে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওপারে সংঘাতের কারণে মাঝে মাঝে এপারে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। আমরা রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।