• রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বগুড়া শাজাহানপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলা, অভিযানে গ্রেফতার ৮ জন ও ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
ছবি শিবলী রায়হান

শিবলী রায়হান বগুড়া প্রতিনিধিঃ- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মিঠুন নামে এক সন্ত্রাসীকে চাকু সহ পুলিশ গ্রেফতার করায় সহযোগীদের নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশের ওপরে হামলা চালিয়েছেন নুরু বাহিনীর প্রধান নুরুজ্জামান। এই হামলায় এসআই সহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুর থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায় ।

পুলিশের উপর হামলার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযান কালে ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে থানা পুলিশ ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান (৩৮), আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন খান (৩২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুল (৩০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইদুজ্জামান খোকন (৩২), স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রবিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (৩৫) অজানা আরো দুইজন। এই ঘটনায় সংবাদ লেখা অবদি পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

জানা যায় শনিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়াবাজার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিঠুন খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ২টি বিদেশি চাকুসহ তাকে আটকের সময় অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের ওপরে হামলা করে মিঠুন। ঐ সময় এসআই আনিছুর রহমান আহত হন।পরে মিঠুনকে আটক করে শাজাহানপুর থানায় নিয়ে আসলে রাত ১০টার দিকে আনুমানিক ৫০জন সহযোগী নিয়ে থানায় আসেন নুরুজ্জামান। এ সময় পুলিশের ওপরে সরাসরি হামলা করেন সঙ্গে থাকা সহযোগীরা। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পরে পুলিশ প্রতিরোধ করলে থানা থেকে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

পরে নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়া এলাকায় আবারও অবস্থান নেয় সন্ত্রাসীরা । এ সময় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে সেখান থেকে নুরুজ্জামান, নাইম, খোকন, নাজমুল, বোরহানসহ অন্যদের আটক করেন। আটকের পর ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদে নুরুজ্জামান এবং নাজমুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মিঠুনের অফিসে অভিযান কালে তাহার কাছে ২টি বিদেশি চাকু পেয়েছিলাম। তাকে আটক করার সময় সে আমাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মী আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে দুইটি চাকু সহ মিঠুনকে থানায় নিয়ে আসার পর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০জনের একটি দল থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এতে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য সে সময় হামলার সিকার হন। পুলিশ প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়ে মাঝিড়াপাড়া পুনরায় অবস্থান নেয়। পরে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নুরুজ্জামানসহ কয়েক জনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটকের পর নুরুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল এবং নাজমুলের বাগান বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ মোট ২টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শনিবার রাতেই শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ