জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজন কুমার চন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনের কাপপিরিচ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কাপপিরিচ প্রতীকের তিন এজেন্ট আহত হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে তিতপল্লা ইউনিয়নের দহেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, কাপপিরিচ প্রতীকের এজেন্ট চরশি কান্দারপাড়া এলাকার মৃত আবুল ফকিরের ছেলে দুলাল ফকির, আনোয়ার হোসেনের ছেলে তসলিম উদ্দিন, মেহেদী আনিসের স্ত্রী ইসমত আরা।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও কাপপিরিচ প্রতীকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
আহতরা জানান, আমরা কেন্দ্রে গেলে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী একই এলাকার সাফায়াতুল্লাহ মাস্টারের ছেলে রশিদুল করিম তুহিন ও তার ছেলে অথৈ এবং আব্দুল হাকিম আলী মাস্টারের ছেলে আব্দুল জলিলসহ একদল কর্মী-সমর্থক আমাদের কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলেন। আমরা প্রতিবাদ করলে পুলিশের উপস্থিতিতেই আমাদের মারধর করেন তারা। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়।
তারা আরও জানান, ওই কেন্দ্রে কাপপিরিচ প্রতীকের ২০জন এজেন্ট ছিলেন। তারা সবাইকে বের করে দিয়েছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ১২টি বুথের মধ্যে দুটি বুথে কাপপিরিচ প্রতীকের ২জন এজেন্ট রয়েছেন। বাকি ১০টি বুথে কাপপিরিচের কোন এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নান্দিনা শেখ আনোয়ার হোসেন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মহসিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এই কেন্দ্রে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী পর্যাপ্ত এজেন্ট দেননি। দু’একটি বুথে ওই প্রার্থীর এজেন্ট রয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ‘আমি শোনার পর সেখানে কর্মকর্তা পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।