• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি:বিজ্ঞান

আপডেটঃ : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন

 

সিনিয়র শিক্ষক

 

দুলালপুর এস.এম.এন্ড কে. উচ্চ বিদ্যালয়

 

ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা।

 

পূর্ব প্রকাশের পর

 

ক. হরমোন কী?

 

উত্তর :  হরমোন: যে রাসায়নিক বস্তু কোন কোষে উত্পন্ন হয়ে উত্পত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে তাকে হরমোন বলে।

 

খ. উদ্ভিদে অক্সিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তর :   উদ্ভিদে অক্সিনের ভূমিকা:  অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন। চার্লস ডারউইন এ হরমোন প্রথম আবিষ্কার করেন। তিনি উদ্ভিদের ভ্রূণমুকুলাবরণীর উপর আলোর পপ্রাব লক্ষ্য করেন। যখন আলো তীর্যকভাবে একদিকে লাগে তখন ভ্রূণমুকুলাবরণী আলোর উেসর দিকে বক্র হয়ে বৃদ্ধি লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে ভ্রূণমুকুলাবরণীর অগ্রভাগে অবস্থিত রাসায়নিক পদার্থটি ছিল বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন। অক্সিন প্রয়োগে শাখা কলমে মূল গজায়, ফলের অকাল ঝরেপড়া রোধ করে। এছাড়া অক্সিন পুষ্পায়নে, টিস্যু কালচাল, এবং আগাছাদমনেও ভূমিকা রাখে।

 

ক. নিউরন কী?

 

উত্তর : নিউরন: স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে নিউরন বলে।

 

খ. মস্তিষ্কের মেডুলার কাজ ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তর :  মেডুলা মস্তিষ্কের নিচের অংশ। সুষুম্না শীর্ষক পনসের নিম্নভাগ থেকে মেরুরজ্জুর উপরিভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাত্ এটা মস্তিষ্কের মেরুরুজ্জুর সাথে সংযোজিত করে। মস্তিষ্কের এ অংশ হূদস্পন্দন , খাদ্যগ্রহণ ও শ্বসন ইত্যাদি কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

ক. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?

 

উত্তর :  প্রতিবর্ত চক্র: যে ক্রিয়া অনুভূতির উত্তেজনা দ্বারা উত্পন্ন হয়, মস্তিষ্ক দ্বারা চালিত হয় না তাকেই প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

 

খ. হরমোন কীভাবে কাজ করে? ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তর :   যে বস্তুটি কোষে উত্পন্ন হয়ে উত্পত্তি স্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে তাই হরমোন। উদ্ভিদের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ ও কার্য সম্পাদনে হরমোন কাজ করে। উদ্ভিদের যেসব হরমোন পাওয়া যায়, তাহলো- অক্সিন, জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন। অক্সিন ও অন্যান্য হরমোন শাখাকলমে মূল উত্পাদন সাহায্য করে। ইন্ডোল অ্যাসোটিক এসিড ক্ষতস্থান পূরণে সাহায্য করে। অক্সিন প্রয়োগে শাখা কলমে মূল গজায়, ফলের অকাল ঝরেপড়া রোধ করে।

 

ক. রেচন পদার্থ কী?

 

উত্তর :  রেচন পদার্থ: নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ যেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় তাদের রেচন পদার্থ বলে।

 

খ. মানব দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।

 

উত্তর :  মানবদেহের বিষাক্ত পদার্থ হলো- কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ইউরিয়া,পানি প্রভৃতি। বিপাকের ফলে পানি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ইউরিয়া প্রভৃতি দুষিত পদার্থ দেহে তৈরি হয়। এ সকল বর্জ্য পদার্থ প্রধানত নিঃশ্বাস বায়ু, ঘাম এবং মূত্রের সাথে দেহ থেকে নিষ্কাশিত হয়। ফুসফুস, চর্ম ও বৃক্ক এই তিনটি রেচন অঙ্গ। কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসের মাধ্যমে, লবণ জাতীয় ক্ষতিকর পদার্থ চর্মের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। বৃক্কের মাধ্যমে দেহের নাইট্রোজেনযুক্ত তরল, দুষিত পদার্থ পরিত্যক্ত হয়। মূত্রের মাধ্যমেই দেহের শতকরা আশি ভাগ নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য বের হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ