বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমগুলোয় কয়েকদিন আগেও প্রাধান্য পেয়েছে , এনবিআরের মতিউর রহমান, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা আবেদ আলী ও কোলকাতায় খুন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল হক আনার হত্যা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় গাজায় ইসরাইলি হামলা ও মার্কিন নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী বদলের খবর প্রাধান্য পেয়েছে। গত এক সাপ্তাহ ধরে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এখন বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন ইস্যুর খবর দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে প্রাধান্য পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশে কারফিউ, ছাত্র হত্যার খবর প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ হচ্ছে। সংঘাত সংঘর্ষ ও পৈচাসিক কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর খবর শিরোনাম হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কাতার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। সউদী আরবে কয়েক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক একত্রিত হয়ে বর্তমান সরকারের আমলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর শপথ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক শ্রমিক কারাদণ্ড ভোগ করছে। মালদ্বীপের বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ব্রিটেনের লন্ডন, ওয়েলসের কার্ডিভ, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের শতাধিক শহরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। ভারতের কোলকাতায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সচিত্র শ্লোগান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন ‘মোদীর কোটায় হাসিনা/তোমায় ভালবাসি না’, শেখ হাসিনা নিপাত যাক/গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, শেখ হাসিনার একগুন/পুলিশ দিয়ে মানুষ খুন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পুলিশের গুলি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে ইউটিউব প্লাটফর্মের টকশোগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা বিতর্ক চলছে। আন্তর্জাতিক এবং প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের কারফিউ ও সংঘাত-সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি নিয়ে প্রতিদিন খবর প্রকাশ করছে। বর্তমান সরকারের মাথার ওপর ছাতা হিসেবে পরিচিত ভারতের কোলকাতায় শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলাদেশের নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের দরজা খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ছাত্রদের প্রতিবাদ বিক্ষোভকে দমনপীড়ন করতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের কাছে থাকা হেলিকপ্টার ও ভেহিক্যালস মোতায়েন নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে।
দেশ বিদেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সংঘাত, সংঘর্ষ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানি, আন্দোলনের সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্বালিয়ে দেয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগ বিতরিত করা, ঢাকার আকাশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারী, জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ঢাকায় সেনাবাহিনীর টহল, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গণগ্রেফতার, পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীদের নিহতের ঘটনা গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ পোড়ানো নিয়ে অতি উদ্বিগ্নতা নিয়েই বেশি বিতর্ক, আলোচনা হচ্ছে। এমনকি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান সরকারের কাছে ‘মানুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে সরকারি স্থাপনার দাম অনেক বেশি’। গতকালও ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, ‘সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রী এমপিদের বক্তব্য আচরণে মনে হচ্ছে এদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে রাষ্ট্রীয় স্থাপনার মূল্য বেশি। যে কারণে পুলিশের গুলিতে এতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পরও এরা নিহতদের নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেনি; বরং পুরে যাওয়া মেট্রোরেলের স্টেশন ও বিটিভিতে গিয়ে মায়াকান্না করছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘এই সংখ্যক মৃত্যু দেখে কেউ চুপ করে থাকতে পারে না। চোখ বন্ধ করলেই ওই লাশগুলো দেখতে পাই। বিচারিক তদন্তে আমরা জজ মিয়ার নাটক দেখেছি। তাই আমরা জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই’। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতায় প্রাণহানির পাশাপাশি মিথ্যা মামলা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতিতে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ‘দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ’ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পৃথক দুটি প্রস্তাব এনেছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই এমপি রুপা হক ও আফসানা বেগম। ২৫ জুলাই রুপা হক ও ২২ জুলাই আফসানা বেগম তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশনে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চান। জবাবে পার্লামেন্টে লেবার সরকারের মুখপাত্র ও এমপি পাওয়েল বলেন, ‘বাংলাদেশের সহিংসতার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রাণহানি অগ্রহণযোগ্য। প্রতিবাদ করার অধিকার ও ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরূদ্ধার করতে হবে।’ বাংলাদেশের সহিংস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন য্ক্তুরাষ্ট্রের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক দলের লিডার চাক শুমার। তিনি বিক্ষোভ কমনে শক্তি প্রয়োগকে ভুল হিসেবে অবিহিত করেছেন। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন দেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কানাডা। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (আগের টুইটার) কানাডার হাইকমিশন এক বিবৃতিতে লিখেছে ‘গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে আমরা হতবাক। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মানের পক্ষে।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ও বর্বরোতার ঘটনায় তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ জার্মানী। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশে সৃষ্ট অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ন নজর রেখেছে ভারত। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০-এর বেশি ভারতীয় নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’ বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি গুলিতে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর মুখপত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সহিংসতার উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং পর্যবেক্ষণ করছি।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকান তুর্ক পৃথক এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের দমনপীড়নের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অ্যামেন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতি অস্ত্রের ব্যবহার করেছে’। ছাত্র আন্দোলনে পুলিশী নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে মার্কিন য্ক্তুরাষ্ট্র বলেছে, ‘তারা বাংলাদেশিদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার সক্ষমতা দেখতে চায়’। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করায় এতো প্রাণহানি ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক মহল, প্রভাবশালী দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় কারফিউ, ছাত্র হত্যা নিয়ে ছাপা সংস্করণ পত্রিকা, ডিজিটাল সংস্করণ এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খবর ও খবরের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেই যাচ্ছে। কাতারের আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস, অষ্ট্রেলিয়ার এবিসি, ভারতের দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য হিন্দু, পাকিস্তানের ডন, ইংল্যান্ডের বিবিসি, জার্মানির ডয়সে ভেলে, আমেরিকার ভয়েস অব আমেরিকা, ফরেন পলিসিসহ সুপরিচিত এবং কম পরিচিত সব গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে খবর প্রকাশ করছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং নানা কারণে দেশের টেলিভিশনগুলো নিষ্ঠুরতা, ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশ না করলেও আল জাজিরায় ভয়াবহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। জনপ্রিয় গণমাধ্যমটি প্রতিদিনই ঢাকার রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। এসব রিপোর্টে উঠে আসছে নানা তথ্য, ভয়াবহ চিত্র। কীভাবে বাংলাদেশে এই সংকটের সৃষ্টি, এর জন্য দায়ী কে বা কারা- এসব প্রশ্নের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহরে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম গতকাল লিখেছেন, ‘এত রক্ত, এত বর্বরতা, কোটা সংস্কারের দাবি করা শিক্ষার্থীদের এমন নির্বিচারে মারধর, এত সুচিন্তিত তথ্য বিকৃতি, এত ঘুরানো-প্যাঁচানো কথা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে ভ্রান্ত ‘তকমা’ দেয়া, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসারত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা (ছাত্রলীগ হামলা করেছিল), বিক্ষোভকারীদের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ এবং বর্তমানে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ফলে যে গভীর সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে সরকারের কোনো প্রস্তাব খুব সহজেই গৃহীত হবে, সেই আশা করা বাস্তবসম্মত নয়। কীভাবে কয়েকদিনেই ১৫৪ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হলো, তাৎক্ষণিক কেন আমরা তার তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছি না? শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলন কীভাবে সহিংস হয়ে গেল; সরকার কেন সংকট নিরসনে সময়মতো উদ্যোগ নেয়নি; শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের অন্তর্নিহিত কারণ কী; পরিস্থিতি সামাল দিতে কোনো ভুল হয়েছে কি না; এত মৃত্যু কেন; পুলিশ দায়িত্বশীল আচরণ করেছিল কি না; যখন তারা গুলি চালালো সেটা বাধ্য হয়েই চালালো কি না। বিজিবি মোতায়েনের পরপরই গুলিতে নিহতের সংখ্যা এত বেশি কেন; বিজিবিকে কি ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, নাকি তারা বিবেচনাহীনভাবে গুলি চালাচ্ছিল?’
এদিকে বাংলাদেশের ভয়াবহ চিত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেছেন ‘এই আন্দোলন এ যাবৎ বর্তমান শাসকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ ও গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কীভাবে এটা ঘটেছে? উত্তর আছে কোটা ব্যবস্থার গভীরে এবং এর সঙ্গে সরকার ও তার দলের সংযোগ থাকায়। কিন্তু এই অস্থিরতার মূল কারণ আরো অনেক গভীরে। কারণ অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে হতাশা, ভয়াবহ দুর্নীতি, জালিয়াতির নির্বাচন এবং মানবাধিকার লংঘন সামনে চলে এসেছে।