নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাহেদ আহমদ সাহা (২৫) নামে এক হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি বিএনপির একটি সহযোগী সংগঠনের সমর্থক ছিলেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকার সড়কে হত্যার শিকার হন সাহেদ। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত সাহেদ আহমদ সাহা উপজেলার দেওটি গ্রামের বড় বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সাহেদ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সমর্থক ছিলেন। ২০১৪ সালে স্থানীয় মিলন হত্যাকাণ্ডে সাহাকে আসামি করে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি প্রায় ১০ বছর এলাকার বাইরে আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার খবরে এলাকায় ফিরে আসেন সাহেদ। এরপর তিনি স্থানীয় চা দোকানদার হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উল্যার বাড়িতে হামলা চালান। আর এনায়েতের নাতি কামরানের ওপরও হামলা চালান। এর মধ্যে হুমায়ুনের দুটি পা ভেঙে দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় সাহেদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা সেখানে তাকে দুই চোখে গুরুতর জখম করে এবং কানের ডান পাশে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে যান। ঘটনার সময় সাহেদের কয়েকজন সহযোগীও আহত হন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, নিহত যুবক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এছাড়া তার নামে হত্যাসহ নানা অপকর্মের ঘটনায় চার-পাঁচটি মামলা রয়েছে। হত্যা মামলার পর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন তিনি। ৫ আগস্টের পর আবার এলাকায় এসে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মানুষের ওপর হামলা শুরু করেন।
ওসি বখতিয়ার আরও জানান, লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে রোববার রাতে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করেন। পরে রাস্তার ওপর সাহেদের মরদেহ পাওয়া যায়। এতে তার কয়েকজন অনুসারীও আহত হন।