• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি করতে দিল্লি বিমানবন্দ ব্যবহারে ভারতীয়দের আপত্তি গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মঈন খান পেড়িয়ে গেলো ২৪ ঘণ্টা নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, আরো ২-৩ দিন সময় লাগবে ফিলিস্তিনের পক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করবে ছাত্রলীগ আব্রামস ও ব্রাডলি ট্যাঙ্ক ধ্বংস, এক সপ্তাহে ইউক্রেনের ৪,২৮৭ সেনা নিহত অভিনয়ের সুযোগ পেতে গোপনাঙ্গ দেখাতে বলেন আয়ুষ্মানকে পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে: খালিদ মাহমুদ ‘মা’ পদক পাচ্ছেন অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম অপারেশনের নামে টর্চার সেলে পৈশাচিক নির্যাতন করে আনন্দ পেতো মিল্টন প্রয়োজন ২২ হাজার দক্ষ ধাত্রী, আছেন ২৫৫৭

যাত্রী ভোগান্তি চরমে হিলি রেল স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥
জনবল সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের অধীন দিনাজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ হিলি রেলস্টেশনের কার্যক্রম। চলতি বছরের মার্চ মাসে হিলি স্টেশন থেকে কর্তব্যরত মাষ্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে টিকেট বিক্রি, ট্রেন প্রবেশের সিগন্যাল দেওয়া।
বর্তমানে “ক্লোজ ডাউন’’ অবস্থায় চলছে এই স্টেশনের কার্যক্রম। উত্তরে বিরামপুর ও দক্ষিনে পাঁচবিবি স্টেশন থেকে হিলি স্টেশনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। ট্রেন এসে ইচ্ছেমত ২ নং লাইনে দাঁড়িয়ে ইচ্ছেমত ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় উঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। বাদুর ঝোলা হয়ে ট্রেনের হাতল ধরতে হচ্ছে তাদের। যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা।
এলাকার কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃটিশের সময় নির্মিত হিলি রেল স্টেশনে এক সময় দিল্লি এক্সপ্রেসসহ সব ট্রেনের ষ্টপেজ ছিল। স্টেশন চত্ত্বর থাকতো জাকজমকপূর্ণ। পাশ্ববর্তী নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাটসহ কয়েকটি থানার মানুষ এই স্টেশনকে ব্যবহার করতো।কিন্তু সেই স্টেশন বর্তমানে ট্রেন থামে মাত্র তিনটি। সেগুলোও একমুখী। নীলফামারী থেকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে নীলফামারীগামী তীতুমীর এক্সপ্রেস আর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল। অথচ এই রেলপথ দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে আন্তনগরসহ ৯টি ট্রেন চলাচল করে।
এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেন, আমজাদ খান, জামাল উদ্দিন জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর এখানে প্রতিষ্ঠা হলেও দীর্ঘদিনেও এখানকার স্টেশনে লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। নেই কোনো যাত্রী ছাউনি, ওভারব্রীজ, বিশ্রামাগার, টয়লেটসহ বিশুদ্ধ পানীয়-জলের ব্যবস্থা।
রেলওয়ে ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আব্দল হক, ইয়াকুব আলী, রহিমা বেগম জানান, যাত্রী ছাউনি না থাকায় বৃষ্টির সময় ভিজে ও গরমের সময় রোদে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় মহিলা যাত্রীদের দূর্ভোগের সীমা থাকেনা। পাশ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে তাদের প্রকৃতির কাজ সারতে হয় তাদের।
এদিকে রেল স্টেশনের আধুনিকায়ন, জনবল নিয়োগসহ সকল ট্রেনের ষ্টপেজ দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেও কোন সাড়া পাচ্ছে না। ফলে চরম ভুক্তভুগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রেল স্টেশনে দায়িত্বরত কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ