রংপুর অফিস॥
রংপুরের পীরগঞ্জ কুয়াতপুর হামিদপুর এলাকায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর হামলা-লুটপাট ও মারপিট করার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছে তোজাম্মেল হোসেনের পরিবার। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সন্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মলনে তোজাম্মেল হোসেন অভিযাগ করে বলেন, পীরগঞ্জ থানার কুয়াতপুর হামিদপুর এলাকায় আমার বসতবাড়ি এবং পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পাশ্ববর্তী প্রভাবশালী বাবু, নুরুন্নবী, লতিফ গংরা পরিকল্পিতভাবে আমার পৈতৃক সম্পত্তি ও কবলা সূত্রে প্রাপ্ত ২৬শতকের মধ্যে সাড়ে ১১শতক বসতবাড়ি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে। গত ১২ জুলাই বিকেলে বাবু, নুরুন্নবী, লতিফের নেত্বতে আল আমিন, আঃ জলিল, আব্দুল খালেক, আসাদুল ইসলাম, জলিল, রাশেদুল ইসলাম, রাজু, আউয়ালরা অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর হামলা-লুটপাট ও রাম দা, ছোরা, চাইনিজ কুরাল, শুলপি দিয়ে আমার পুত্র হারুনুর রশিদ, নুর আমিন ও নুর আমিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম এবং নুর আমিনের পুত্র শাকিল মিয়া কে এলোপাথাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে থাকলে গুরুত্বর অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বাক্সে থাকা স্বর্ণ অলংকার যার অনুমান মূল্য ২লাখ, বাক্সে অর্থ রক্ষিত ২লাখ ৫০হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে যাহা ১লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। গুরুত্বর অসুস্থ হারুনুর রশিদ, নুর আমিন ও নুর আমিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম এবং নুর আমিনের পুত্র শাকিল মিয়া কে পীরগঞ্জ মেডিকেলে ভর্তি করা হলে রোগীর অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংবাদ সম্মলনে হারুনুর রশিদ বলেন, আমার পিতা তোজাম্মেল হোসেন এ ঘটনার বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় বাবু, নুরুন্নবী, লতিফ, আল আমিন, আঃ জলিল, আব্দুল খালেক, আসাদুল ইসলাম, জলিল, রাশেদুল ইসলাম, রাজু, আউয়াল ১১জন কে আসামী করে একটি মামলা করে। যাহার মামলা নম্বর- ২১/৩০৬, তারিখ- ১৩-০৭-১৮খ্রিঃ।
সংবাদ সম্মলনে নুর আমিন বলেন, আমার পিতা তোজাম্মেল হোসেন কে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়াসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে প্রতিপক্ষরা। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। পীরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুমুর রহমান জানান, এ মামলায় ইতিমধ্যে দুই জন আব্দুল জলিল ও আসাদুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বাড়ি ভাঙচুর হামলা-লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।