• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

পীরগঞ্জে শীতকালীন তরমুজ দাম ভাল পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেটঃ : বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগঁও) প্রতিনিধি॥
শীতকালীন তরমুজ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে। উচু জমি ও বেলে মাটিতে এসব তরমুজ চাষ করছে চাষীরা। উৎপাদিত এসব তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষি বিভাগ বলছেন, আগামীতে শীত কালীন তরমুজ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলার রনশিয়া গনেশ ফার্ম এলাকার কৃষক সোহেল রানা জানান, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলন হয়েছে ভাল। বেশী দামে ক্ষেতেই তরমুজ বিক্রি করতে পারায় আমরা খুশী। তিনি এবার দানাজপুর ফার্মে ৪ একর জমিতে শীতকালীন তরমুজ আবাদ করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। নভেম্বর মাসের শুরুদিকে সানোয়ার নামে ঢাকার এক ব্যবসায়ী ৬ লাখ টাকায় তার ক্ষেতের তরমুজ কিনে নিয়েছেন। চাষী সোহেল রানা আরও জানান, গত ভাদ্র মাসে তিনি ঐ জমিতে সুইট ব্লাক বেবী-২ জাতের তরমুজ বীজ রোপন করেন। ২ মাসের মাথায় তার ক্ষেতের তরমুজ বড় আকার ধারণ করলে ঢাকার ঐ ব্যবসায়ী ক্ষেত থেকেই সব তরমুজ কিনে নেন। ঐ ব্যবসায় এরই মধ্যে ৬ ট্রাক তরমুজ ঢাকায় পাঠিয়েছেন। তরমুজ ব্যবসায়ী সানোয়ার জানান, কয়েক দিন আগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া এখানকার তরমুজ ৬০/৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কিছুটা কমে গেছে। তাও ভাল লাভ হবে বলে জানান সানোয়ার। এদিকে দানাজপুর চৌরঙ্গী বাজারের সার বীজ ব্যবসায়ী আলিমউদ্দীন জানান, তিনিও এবার ৫ একর জমিতে শীতকালীন তরমুজ চাষ করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে তিনি তার ক্ষেতের তরমুজ ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ঐ ব্যবসায়ী এখনও ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলেন নি। দু’এক দিনের মধ্যে তুলে ঢাকায় পাঠাবেন। একেকটি তরমুজের ওজন হবে ৩ থেকে ৪ কেজি।
মঙ্গলবার দুপুরে দানাজপুর এলাকায় আলিমউদ্দীনের তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, কালো রঙের শত শত তরমুজ পাতার আড়ালে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ক্ষেতের মালিক জানায়, তার মতো জাবরহাট ও বৈরচুনা ইউনিয়নের আরও অনেক কৃষক এবার শীতকালীন তরমুজ আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। গত বারের তুলনায় এবার আবাদ বেড়েছে। জন প্রিয়তা পেয়েছে শীতকালীন তরমুজ চাষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, এবার পীরগঞ্জ উপজেলার ৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাবরহাট ও বৈরচুনা ইউনিয়নে আবাদ হয়েছে বেশী। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলন হয়েছে ভাল। কৃষক ভাল দামও পেয়েছেন। আশা করা হচ্ছে আগামী শীতকালীন তরমুজের আবাদ আরও বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ