চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের চিতলমারীতে পাঁচ শতাধিক কৃষককে লাল চিঠি দিয়েছে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক। ঋণ খেলাপীর দায়ে তাদেরকে এ চুড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে ডিসেম্বর ভিত্তিক এ ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি ৪৪ লাখ এবং প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি টাকা। যা শতকরা ৮৯ ভাগ অর্জিত হয়েছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, দীর্ঘদিনের বকেয়া ঋণের চুড়ান্ত চিঠি হঠাৎ হাতে পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এ সকল সাধারণ কৃষক। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বিমল বালা জানান, তিনি ২০১৩ সালের ৬ জুন চিতলমারী কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। বর্তমানে সূদে আসলে হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। গত ০৭/১২/২০১৭ ইং তারিখে একটি লাল চিঠি উক্ত টাকা সল্প সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা তার পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি বর্তমানে মামলা আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
অনুরুপ, জানিয়েছেন একই গ্রামের মনোরঞ্জন বালা। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি ব্যাংক থেকে তুলেছিলেন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে সূদে আসলে হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ২৫৭ টাকা।
তারা আরও জানান, শুধু তারা দু’জন নয়, এরকম লাল চিঠি পৌঁছে গেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাধারণ কৃষকের বাড়িতে। আর এসব কৃষকেরা সকলেই মামলা আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চিতলমারী কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক অরুণ কান্তি কুন্ডু ও সেকেন্ড অফিসার শিবদাস রায় জানান, চিতলমারী উপজেলা একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানকার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। তাই প্রতিবছর কৃষকদের কথা ভেবে কয়েক কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। কিন্তু তারপরও কিছু কৃষক আছে যারা ঠিকমত ঋণের টাকা পরিশোধ করে না। বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী চুড়ান্ত নোটিশ বা লাল চিঠি প্রদান করা হয়েছে। নোটিশের সংখ্যা আড়াই শতাধিক হবে।
তারা আরও জানান, ২০১৭ সালে ডিসেম্বর ভিত্তিক এ ব্যাংকের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি ৪৪ লাখ এবং প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি টাকা। যা শতকরা ৮৯ ভাগ অর্জিত হয়েছে।