তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে আবারো বিচারকদের (ইউপি সদস্য) বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশে জরিমানার টাকা আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তানোরের বাধাইড় ইউপির খাগড়াকান্দর গ্রামে এই সালিশের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সালিশে জরিমানার পুরো টাকা ভিকটিম পরিবারকে না দিয়ে বিচারকগণ আতœসাত করায় সাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে, দাবি উঠেছে কথিত বিচারকদের বিচারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোরের বাধাইড় ইউপির খাগড়াকান্দর গ্রামের গৌর চন্দ্রের পুত্র মাধব চন্দ্র (২৫) বিয়ের প্রলোভন নিয়ে একই এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তির কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রায় ৫ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করে আসছে। এমনকি পরিবারের সম্মতিতে মাধবের বাড়িতেই তারা একাধিকবার অনৈতিক মেলামেশা করেছে বলেও প্রচার রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মাধব বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে এক পর্যায়ে ভিকটিমের অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। কিšত্ত মাধব তাকে বিয়ে না  করে গোপণে অন্যত্র বিয়ে করে। এ খবর জানাজাসি হলে ভিকটিম স্ত্রীর অধিকার পেতে মাধবের বাড়িতে অনশনে বসে ও তার স্বজনরা থানায় মামলার প্র¯ত্ততি নেয়। কিšত্ত স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপোষ-মিমাংসার কথা বলে গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, বাধাইড় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ভঞ্জনের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে প্রধান বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মালেক। সালিশে বৈঠকে মাধবকে দোষী সাব্যস্ত করে তার দু’লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়, তবে ভিকটিমকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিভিন্ন থরচের কথা বলে বাঁকি এক লাখ টাকা বিচারকগণ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এমন ঘটনার কথা তার জানা নাই। এব্যাপারে বাধাইড় ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আব্দুল মালেক বলেন, তিনি বিচারে ছিলেন তবে এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না এটা ভঞ্জন মেম্বার ভালো বলতে পারবেন। এব্যাপারে বাধাইড় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ভঞ্জন বলেন, প্রধান বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল মালেক সেই ভালো বলতে পারবে এখন অস্বীকার করলে তো হবে না। এব্যাপারে মাধবের পিতা গৌর চন্দ্র বলেন, জরিমানার জন্য তার কাছে থেকে এক  লাখ ৯০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য কারো আরো কিছু টাকা খরচ হয়েছে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বা এমন ঘটনার কথা তার জানা নাই, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম বলেন, তিনি জরিমানা চাননি মাধবকে বিয়ে করতে চেয়েছেন এখানো চান,তবে বিচারকগণ জোরপূর্বক তাকে জরিমানার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য করেছে।

Share Button