• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
খাগড়াছড়িতে কেন্দ্রের পরিবেশ ‘হুমকি’ মনে করায় ভোটগ্রহণ স্থগিত কারো সাথে কোনোদিন গালাগালিও করি নাই: ডিপজল টি-টোয়েন্টি শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ পাকিস্তানের আদালতের শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ, আধাবেলায় ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ, ইসি অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ২ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, আহত ১০ ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী বেলকুচি ভোটকেন্দ্র থেকে টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ প্রতিক্রিয়ার অনুসন্ধান চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি নদী গর্ভে বিলীন ১৫ টি বাড়ী

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি॥
উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি ও ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । নির্মানাধীন ধরলা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে নদীর ¯্রােত সোজাসুজি সোনাইকাজী গ্রামের ভুখন্ডে আঘাত করার কারনে গত ২দিনে ধরলার ভাঙ্গনে নদী নিকটবর্তী সোনাইকাজী গ্রামের বেড়ীবাঁধ, আবাদি জমি, বাগান, বাঁশঝাড়, বসতভিটা সহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মানাধীন ধরলা ব্রীজের এক কিলোমিটার দক্ষিনে সোনাইকাজী এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। নির্মানাধীন সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়কে বাধা প্রাপ্ত হয়ে নদীর তীব্র ¯্রােত সোজাসুজি এই এলাকায় আছড়ে পড়ছে। ফলে অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে সোনাইকাজীÑ ১৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর নদী থেকে সামান্য দুরত্বে মারাত্বক ভাঙ্গন হুমকির মূখে রয়েছে সোনাইকাজী মসজিদ, রামপ্রসাদ ও প্রানকৃষ্ণ গ্রাম, মরানদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু গুরত্বপূর্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে হয়তো অল্পদিনের মধ্যেই ফুলবাড়ী উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে নদীর তীরবর্তী এ প্রাচীন গ্রাম গুলো ।
ওই এলাকার মৃত টরটরু মামুদের ছেলে হাছেন আলী (৭৫)) জানান, দশ ভাইয়ের পয়ত্রিশ বিঘা জমি ছিল। নদী ভাঙ্গনে সবকিছু বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা নিঃস্ব।
সোনাইকাজী গ্রামের হোসেন আলী (৬০), শাহাদৎ হোসেন (৭৫), নুরুল হক (৭০), জেলাল হক (৬৮), বাচ্চানী বেগম (৫৬), শাহাদৎ মিয়া (৭৩), শহিদুল হক (৬০), ই্ছলাম মিয়া (৫৫), কানা কাশেম (৫৬), লাভলু মিয়া (৪৫), বুলবুলি খাতুন ( ৪০), লাকী বেগম (৩৫), দুলাল হোসেন (৫০), মিজানুর রহমান (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৩৫), গত দুই দিন থেকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে নদী বেশি করে ভেঙ্গে গেলো বেশকিছু বসত ভিটা নদী গিলে খাওয়ায় অনেকেই বাড়ী সড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধরলা সহ কুড়িগ্রামের বেশকয়টি নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাও জানান, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভাঙ্গন বৃদ্ধির খবর পেয়েছি । পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ