তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে কালীগঞ্জহাট ইজারদারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস সম্পত্তি (পজিশন) বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও টোল আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ তো রয়েছেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইতমধ্যে হাট ও হাট সংলগ্ন সরকারি খাস সম্পত্তি বিক্রি করে ইজারদারগণ প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবারো হাট সংলগ্ন প্রায় অর্ধকোটি টাকার মূল্যর সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করেছে। আর এসব ঘরের পজিশন বিক্রি করে ৪ জন ব্যবসায়ীর কাছে থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটের এক ভাত ব্যবসায়ী বলেন, তারা প্রথমে টিনের ঘর তৈরী করে পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পজিশন বিক্রি করে দেন এটাই তাদের আসল ব্যবসা আর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি সেটা তো রয়েছেই।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, হাট ইজারদার ইজাজুল ইসলাম তোতা তার লোকজন নিয়ে লাঠি-শোাঠা হাতে পাহারা বসিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করছে। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের লাঠি পেটা করার হুমকি দিয়ে হাটছাড়া ছাড়া করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সময় ঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইজারদার এজাজুল ইসলাম তোতা দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন, এসব লিখে লাভ নাই ভাগ যায় ওপর মহলে। তিনি আরো বলেন, তারা হাট ইজারা নিয়েছেন হাটের ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব তাদের, তবে পজিশন বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ব্যাপারীদের জন্য এই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। হঠাৎ করেই ব্যাপরীদের জন্য ঘরের কি দরকার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তাদের হাটে তারা যা খুশি করবেন এতে কে কি ভাবলো সেটা দেখার দায়িত্ব তার নয়। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এ বিষযে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী হাটে টোল আদায়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।