• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্যারিস্টার আমিনুল চ্যালেঞ্জের মূখে ?

আপডেটঃ : বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবং একবার পূর্ণ ও একবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে রাতারাতি তিনি আতœগোপনে চলে যান। তৃণমূলের অভিযোগ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু সাধারণ নেতাকর্মী ও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গেছেন। বিষয়টি প্রচারের পরে এবার তাকে কঠিন ট্যালেঞ্জের মূখে পড়তে হয়েছে। এদিকে ওই সময়ের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার ও জঙ্গীবাদে মদদদানসহ ১৩টি মামলা দায়ের হয়। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগে যোগদানের চেস্টা করেও ব্যর্থ হন। এর পর কিছুদিন কারাভোগ করে সবগুলো মামলায় জামিন পান। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আতœগোপনে থাকা ও কারাভোগের পর দীর্ঘদিন তিনি  নির্বাচনী এলাকায় না যাওয়ায় অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তার ফাঁকে এই আসনে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেন সাবেক সচিব ড, এসএম জহুরুল হক, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও (অবঃ) যুগ্ম-সচিব গোলাম মোর্তজা, সাজেদুর রহমান মার্কনী ও প্রবাসী বিএনপি নেতা অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন প্রমূখ। ফলে যে আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক ছিলেন দলের ভেতর অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এখন সেই আসনে তাকে টেক্কা দিতে লড়ছেন তার অনুগত এসব প্রভাবশালী নেতা। ফলে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সুখের ঘরে এখন তুষের আগুন। সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক কারাগারে যাওয়ার পর সেখানে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে শুরু করেন সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান, গোলাম মোর্তজা, জহুরুল হক, মার্কনী ও শাহীন প্রমূখগণ।
এদিকে তাদের তৎপরতায় তানোর ও গোদাগাড়ী বিএনপিতে চরম বিভক্তি দেখা দেয়। সম্প্রতি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে ফের বিএনপিতে ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতা ও কমী-সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরোধীতা করে প্রকাশ্যে মাঠে নামেন স্থানীয় বিএনপির প্রথম সারির একাধিক নেতা। তবে আবারো হঠাৎ করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হয়েছেন সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। দলের নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও বৈরী সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছেন তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান এমরান আলী মোল্লা ও তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে। নিজের টলমল অবস্থা শক্ত করতে তার এমন ঘন ঘন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বলে মনে করেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিরোধীরা। তানোর-গোদাগাড়ী বিএনপির তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক কেএম মার্কনী বলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হক তিন মেয়াদে সাংসদ, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এক সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলনা। কিšত্ত দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের বিপদে রেখে তিনি আতœগোপণে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিলাস জীবনযাপন করেছেন। তৃণমুল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন নি। এজন্য তানোর-গোদাগাড়ী বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন আর তাকে চায় না। মার্কনী অভিযোগ করে বলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হক তাঁর ক্ষমতার জোরে তানোর-গোদাগাড়ীতে বিএনপিকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছেন। তিনি এখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটির নামে তার অনুগত ও বির্তকিতদের দ্বারা পকেট কমিটি গঠনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলের প্রবীণ, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের অনুগত ও আতœীয়-স্বজনদের পদ দিয়ে কমিটি গঠনে তৎপরতা শুরু করেছেন। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ