ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষনের সহযোগিতা করায় রিমা আক্তার নামে একজনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।ধর্ষনের মুলহোতা দেবাশীষকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দেবাশীষকে পুলিশ এর আগে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।পরে সে জামিনে এসে আবার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এই পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।শুক্রবার (৬জুলাই) রাতে দেবাশীষের মালিকানাধীন ধামরাই আইঙ্গণ এলাকায় মেসার্স অর্ণব এন্টারপ্রাইজ নামে একটি রাইস মিলের গুদাম ঘরে আটকে রেখে ঐ স্কুলছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করে।ধর্ষণ হওয়া ঐ ছাত্রীর বাসা আশুলিয়া থানার গাজীরচট এলাকায় তারা সপরিবারে ভাড়া থাকে এবং বাবা-মা দুইজনই গার্মেন্টস চাকরী করে।
আটক কৃত সহযোগি রিমা ও পুলিশ সুত্রে জানাযায় আশুলিয়া গাজীরচট এলাকায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বান্ধুবী ধামরাই কেলিয়া গ্রামের রিপন হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তারের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। পরে রিমা বেড়ানো কথা বলে গোপনে তাকে তার বন্ধু দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে তাকে নিয়ে যায়। পরে দেবাশীষ মেয়েটিকে রেখে গোপনে রিমাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয় এবং রাত হওয়ার পরে তাকে ধর্ষণ করে।পরের দিন সকালে স্বজনরা খবর পেয়ে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে অবস্থার বেগতিক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে। এই ব্যাপারে ধর্ষিতার বাবা মোঃ বাবুল সিকদার বলেন,রিমা আমার মেযের মত সে প্রায় আমাদের বাড়ীতে আসত আমি ভাবতে ও পারি নাই যে সে আমার এত বড় ক্ষতি করবে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা মোঃ বাবুল সিকদার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর ধামরাই থানা পুলিশ তল্লাসী চালীয়ে রিমা আক্তারকে আটক করেছে। তবে ধর্ষককে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারে নাই।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ কামাল হোসেন বলেন,ধর্ষনের সহযোগিতা করার অপরাধে তাকে রিমা আক্তারকে আটক করে এক দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মুল ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।তিনি আর জানান দেবাশীষ কিছুদিন আগে নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গত ৯জুন আশুলিয়া থেকে জামাল ও ফারুক হোসেন নামে দুই হোটেল ব্যবসায়ীকে তুলে এনে মুক্তিপন আদায়কালে তার রাইচমিলের গুদাম ঘর থেকে পুলিশ তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে দেবাশীষ জামিনে এসে আবার সে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এলাকা সুত্রে জানা যায় দেবাশীষ একজন মাদক সেবী ও মাদক কারবারী।